আবারও সেই একই গোলমাল!! একেই বলে বোধ হয় ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ’তা!
Updates from September, 2013 Toggle Comment Threads | Keyboard Shortcuts
-
ভাঁড়ের চা
-
ভাঁড়ের চা
২৭ তারিখের করা পোষ্টটা সেদিন ঠিকঠাক হল কিনা জানা যায় নি, এবং পর দিন ২৮শে-এও আড্ডাতে আসেনি দেখে আবার পোষ্ট করা হল। এখন দেখতে পাচ্ছি ৪ মিনিটের ব্যবধানে দু’টোই এসে গেছে! আমার কোন দোষ নেই ভাই। আসলে নেটের সিগন্যালের দুরবস্থার জন্যই আমার এমন হেনস্থা। একটা পোষ্ট delete করে দেওয়া যায় হয়ত, তবে পদ্ধয়িটা জানা নেই। শিখে নিতে হবে।
-
ক্যাপাচিনো
মনে হচ্ছে কফিমেকার আপনার সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন।
-
-
ভাঁড়ের চা
টিভি যন্ত্রনা
আড্ডা-১৮ (২৬/৯/১৩)
টিভি নিয়ে আরও কিছু। অবশ্য ঠিক টিভিও নয়, মানে ওটা থাকলে কি হয় তাই আর কি! মানে, আমার ঘুম মাথায় উঠেছে গত মাস ছয়েক হল। কারণ, পাশের বাড়ির নতুন টিভি!
ভদ্রলোক রিটায়ার করার পর আমার মত একটা বাক্সমার্কা টিভি থাকা সত্ত্বেও দেওয়ালে ঝোলাবার জন্য আর একখানা কিনে ফেললেন! নতুনটা স্ত্রীকে উপহার দিয়ে পুরনোটা নিজের ঘরে (এঘরে দিনের বেশীর ভাগ সময় কাটান, সাধারনত নিজের পছন্দমত অনুষ্ঠান দেখেন) রেখেছেন। এদিন থেকেই আমার যন্ত্রনা শুরু!নতুনটা এমন জায়গায় ঝোলানো হল যা আমার ঘরে বসে সরাসরি দেখা যায়। তাতে কোন অসুবিধা নেই, জানালা বন্ধ করলেই চলে। কিন্তু শব্দ ? আমাদের যে একখানা নতুন টিভি হয়েছে, সেটা অন্যান্য বাসিন্দাকে জানানোটাও দরকার! আর এটাও জানানো দরকার যে আমি খুব সঙ্গিতরসিকাও বটি! সুতরাং গাঁক গাঁক শব্দে টিভি’র চলা শুরু! এইসব দেয়ালে ঝোলানো টিভিতে আবার এফ এম রেডিও-ও আছে, আর তার কোনও চ্যানেলে অতি ভোরে (বোধ হয় ৫টাতে) ভক্তিগীতি শুরু হয়! আমাদের সঙ্গিতপ্রিয় প্রতিবেশীনীর সঙ্গীতরস পানের সেই শুরু! শুরুটা যে হয় বেশ উচ্চগ্রামে তা বলাই বাহুল্য। ভোরের ঘুমটা চটকে লাট একেবারে!
সে গান শেষ হতে না হতেই বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে শুরু হয় প্রাতঃকালীন গানের আসর। সুতরাং হাতের রিমোট-এর এফ এম ছেড়ে সেই সব চ্যানেলগুলোতে ঘোরাফেরা শুরু হয়। ভেবে পাই না তিনি কোন গান ভালবাসেন বা শোনেন! গানের পর আছে বিভিন্ন জায়গায় খবর শোনা। তার পর নানা চ্যানেলে বাংলা-হিন্দী মিশিয়ে নানা মেগাসিরিয়াল। শেষ পাতে রাতের দিকে হিন্দী সিনেমা, যা চলে রাত একটা/দেড়টা পর্যন্ত। এর মধ্যে আবার ভদ্রলোকের রাজনৈতিক তর্কবিতর্কের সান্ধ্য আসরটি শোনার ইচ্ছে যেদিন হয় সেদিন ত চিত্তির! দু’টি মাইক সদৃশ আওয়াজ। হঠাৎ পুজো প্যান্ডেলের কথা মনে পড়ে যায়! আবাসনের ঘরগুলোর যা সাইজ তাতে অতি কম ভল্যুমেও দিব্যি শোনা যায়। তা সত্ত্বেও অত জোর আওয়াজে টিভি চালানো কেন বুঝি না। কিছু বলতেও ভরসা হয় না, পাছে শুনতে হয়, “আপনাদেরটাও ত জোরে চলে, আমাদের অসুবিধা হয়, আর তাতেই জোরে চালাতে হয়”। অথচ নীচু আওয়াজে শোনার জন্য অর্ধাঙ্গিনীর গঞ্জনা শোনা আমার নিত্যনৈমিত্তিক রুটিন!
নিজেদের টিভি শোনার দফা রফা, পাছে ধমক খাই পাশের বাড়ির শান্তি নষ্টের অপবাদ ঘাড়ে এসে পড়ে! কি যে করি, ভারি বিপদে পড়া গেছে! তবে একটা ভরসা হচ্ছে ক’দিন হল, বোধ হয় প্রতিবেশীনীর কান এবং টিভি শোনার ইচ্ছে, দুটোই ক্লান্ত হয়েছে! তেমনই ইঙ্গিত পাচ্ছি!!
-
ক্যাপাচিনো
হায় রে, এর চেয়ে যদি ওনার বই পড়ার অভ্যেস হত, তাহলে কত ভালোই না হত আপনার পক্ষে, তাই না?
-
-
শনিবারের কফি
হেমন্তে নয়; শরতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
রাত পেরোনো ব্যালে ট্রুপে জুড়ে ছিলো কিছু টুপটাপ অন্ধকার। নৈঃশব্দে ঠাসা গ্রামোফোনের রেকর্ডগুলো জানিয়ে গেছে- যে লোকটা বহু কিছু ধরে রাখার মধ্যে ছিলেন না কোনোদিন, তিনি মৃত্যুর আগেরক্ষণ পর্যন্ত ছাড়তে পারেননি একটি জিনিশ। তা হলো স্টেট এক্সপ্রেস ফাইভ ফিফটি ফাইভ। তিনি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ‘ছোট নীড়’ থেকে যাত্রা শুরু করে যিনি ‘রানার’ হয়ে চলে গেলেন ১৯৮৯-এর ২৬ সেপ্টেম্বর। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় তাঁর এই বাল্যবন্ধু হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে একটা বই-ই লিখে ফেলেছিলেন ‘হেমন্তর কী মন্তর’। প্রবীণ বয়েসেও কবি ঠাওরে উঠতে পারেননি, বন্ধুটির জাদুটা ঠিক কোথায়; গলায়, চেহারায়, মনে না হৃদয়ে?
হেমন্ত আজকে যতোটা মাহেন্দ্রক্ষণের তখন ততোটা ছিলেন না। কাগজে বেশ সমালোচনা ছাপা হতো তাঁর নামে। তিনি ঠাঁয় বসে থেকে সেগুলো শুনতেন। শঙ্করলার ভট্টাচার্য একবার বেশ ক্ষেপে গিয়েই জিজ্ঞেস করলেন- কিছু বলছেন না কেনো? কি সব লিখে বেড়াচ্ছে লোকজন! হেমন্ত স্বভাবসুলভ হাসি হেসে লেখক বিমল মিত্রের একটা পরামর্শের উল্লেখ করেছিলেন। বললেন- “কাগজে নিন্দেমন্দ গাইছে শুনে বিমলবাবু বললেন, ‘আনন্দ করুন! আনন্দ করুন! সমালোচনা, নিন্দেটিন্দে হচ্ছে, মানে আপনার নাম হচ্ছে। নাম-যশের ওর চেয়ে ভালো দাড়িপাল্লা হয় না’।”
আধুনিক বাঙলা গানের আকাশে হেমন্ত যতোটা শুকতারা, রবীন্দ্রসঙ্গীতের আকাশে ততোটা নন- অন্তত আমার তা-ই ধারণা। কলেজে পড়ার সময় মনে হতো, ভদ্রলোক ইঞ্জিনিয়ারিঙ আর গীতবিতানের পার্থক্য বোঝেন না। এরপর শ্রোতা হিশেবে রবীন্দ্রসঙ্গীতেও তাঁকে পাশ মার্ক দিয়েছি। ’৮৭ কী ’৮৮ সালে ক্যাসেটের শারদ সম্ভারের উদ্বোধন আয়োজন করেছিলো ‘সাউন্ড উইং সংস্থা’ দক্ষিণ কোলকাতার পল ম্যানসনে। একেবারে শেষে ওরা বাজালো ‘সত্তর দশকের হেমন্ত’ নামের ক্যাসেট থেকে ‘কৃষ্ণকলি’ গানটা। ‘কৃষ্ণকলি’র এহেন স্বপ্নিল রেন্ডারিং তখনও শোনেননি বাঙলা গানের শ্রোতারা। সকলে মন্ত্রমুগ্ধ হলেও চোখে জল নিয়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন- ‘এটা সুচিত্রা মিত্রের প্রিয় গান। তাই গাই না, এখন। এটা ওর মতো করে কেউ গাইতে পারে না। ওঁর গান ওঁরই থাক। তোমরা আমার ক্যাসেটটা শুনো’। হেমন্তই বুঝেছিলেন ‘কৃষ্ণকলি’ সুচিত্রা মিত্রের মতো করে কেউ গাইতে পারেন না, কোনোদিন পারবেনও না।
কিছুদিন আগে জগন্নাথ বসুর ‘পরচর্চা’ পড়ছিলাম। সেখানেই পড়েছিলাম; জগন্নাথ বসু ছাত্রাবস্থায় স্কটিশ চার্চ কলেজের সোশ্যালে সভাপতি হবার আবেদন নিয়ে ঋত্বিক ঘটকের কাছে গিয়েছিলেন। ঋত্বিক জিগ্যেস করলেন- কে গাইবে গান? উত্তর- হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ওঁকে কতো দিবি? টাকার অঙ্কটা শুনে ঋত্বিকের শিশুসুলভ প্রশ্ন- তা, আমায় দশটা টাকা দিবি তো?
অঙ্ক না মেলাতে পারলে ইঞ্জিনিয়ারিঙ হয় না। দশ টাকার অঙ্কও তো অঙ্কই। হোক না তা ঋত্ত্বিক ঘটকের। হেমন্তের মতো শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেও নিজেকে তৈরি করতে হয়। সময় লাগে। তৈরি হতে হতে ছাব্বিশ তারিখটা পেরিয়ে যায়। সাতাশ তারিখ এসে পড়ে।
হেমন্ত তো তারিখের চৌকাঠে বন্দী নন। তাঁকে বৃথাই তারিখ মেনে শ্রদ্ধা জানাতে চাইলে, অঙ্কটা আর মিলবে না কোনোদিন।
-
ক্যাপাচিনো
চমৎকার লিখেছেন। পড়তে পড়তে একটু দেরি হয়ে গেল এই আর কি। মহালয়ার শুভেচ্ছা রইল।
-
-
শনিবারের কফি
প্রীতিলতা- হৃদয়ে ছড়ানো রোদ্দুর আমার
তোমাকে জেনেছিলাম বেথোফেনের আশ্চর্য ফিফথ সিম্ফোনিতে; জেনেছিলাম, যখন শাপগ্রস্ত আমাদের মৃত্যু শহরের শরীরকে পরিত্যাগ করে বিপ্লব তার নিজ পায়ে হেঁটে চলে গেছে অন্যত্র। তোমার মহিমান্বিত আঙুলের ছাপ নাকি এখনও বড্ডো বেশি সজীব হয়ে আছে ‘ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাই’ বইয়ের পাতায় পাতায়, যা আত্মস্থ করবার পর তুমি বিপ্লবী কল্পনা দত্তকে লিখেছিলে- ‘কোনো কোনো সময় আমরা স্বপ্ন দেখতাম বড়ো বিজ্ঞানী হবো। সেই সময় ঝাঁসীর রানী আমাদের চেতনাকে উদ্দীপ্ত করে। নিজেদেরকে আমরা অকুতোভয় বিপ্লবী হিশেবে দেখা শুরু করলাম’।
প্রীতিলতা। তোমার বুকের গভীরের কোথায় লুকিয়ে রেখেছিলে এক টুকরো নিটোল না-ছোঁয়া বিপ্লবের বহ্নিশিখাকে, যার পরতে পরতে লুকিয়ে ছিলো প্রাণিত হবার মূলমন্ত্র। পূর্ণেন্দু দস্তিদার দেয়া বইগুলোও কী রেখে দিয়েছিলে সেখানে, যেখানে বাতিঘরের উষ্ণতায় ধরা পড়ে তোমার প্রাণেশ্বরী মহা-সকাল। নির্মম রেড অর্ডিন্যান্সের কিনারা ঘেঁষে তুমি কেমন চলে গিয়েছিলে ‘ক্ষুদিরাম’, ‘বাঘা যতীন’, ‘কানাইলাল’, ‘দেশের কথা ও সরকারী রাউলাট কমিশন’- এর কার্নিশে; সত্যিই, তুমি বিজ্ঞানী নও, অমর হবার জন্যই জন্মেছিলে।
ডা. খাস্তগীর উচ্চ ইংরেজি বালিকা বিদ্যালয়ের সূর্যমুখী মেয়েটি নিজেই কেমন সূর্য হয়ে উঠলো, আলোর তরল জলে স্নান সেরে এসে হাত ধরলো লীলা নাগের- ‘দীপালী সংঘ’ তখন ফোরগ্রাউন্ড, ব্যাকগ্রাউন্ডে আশ্চর্য দ্বীপান্বিতা স্বাধীনতা।
তুমি গ্রহণ করবার পর থেকে পটাশিয়াম সায়ানাইডে আর বিষ নেই; শুনেছি সেদিন থেকে তার আনবিক সঙকেতের আকাশে নাকি চাঁদ উঠে- লাল চাঁদ; প্রতুলের ছোকরা চাঁদ, জোয়ান চাঁদের সাথে সে হাত ধরাধরি করে হাঁটে বিপন্নতার পথে- গন্তব্য তার মুক্তি, বিপ্লবের পূর্বাশা। তুমি তোমার শেষ চিঠিটি লিখেছিলে তোমার মায়ের কাছে, তাঁকে বলেছিলে- মাগো, অমন করে কেঁদো না! আমি যে সত্যের জন্য, স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতে এসেছি, তুমি কি তাতে আনন্দ পাও না? কী করবো মা? দেশ যে পরাধীন! দেশবাসী বিদেশির অত্যাচারে জর্জরিত! দেশমাতৃকা যে শৃঙ্খলভাবে অবনতা, লাঞ্ছিতা, অবমানিতা! তুমি কি সবই নীরবে সহ্য করবে মা? একটি সন্তানকেও কি তুমি মুক্তির জন্য উৎসর্গ করতে পারবে না? তুমি কি কেবলই কাঁদবে?
ইয়ঙ-এর মাদার কমপ্লেক্সের বাইরে এসেই বলছি- মায়েরা সন্তানদের মুক্তির জন্য উৎসর্গ করতে জানেন, সত্যিই তাঁরা কাঁদেন না; কেবল আমরা, সন্তানেরাই নিজেদের দায়িত্ব ভুলে যাই। আমরা সন্তানেরাই প্রীতিলতা হতে পারি না।
-
ক্যাপাচিনো
এ সব তোমার দোষ ললনা
এই ভিডিওটি দেখে তারিফ না করে থাকতে পারছি না।
-
শনিবারের কফি
চারশ বছর আগের বুড়ো; নিয়তির বাঁধা মানচিত্রে তুমি আজও বড্ডো প্রাসঙ্গিক, বড্ডো এলোমেলো। ভোরের ঠোঁটে লেগে থাকা অ্যালপাচিনোরা যখন রবার্ট ফ্রস্ট ছুঁয়ে যায় ‘আউট আউট’ চিৎকারে; তখনও তুমি জানতে মধ্যরাত্রির বিপন্ন কান্নার ফেস্টুনের ভাষ্য আসলে- অল আওয়ার ইয়েস্টার্ডেস।
ভাগ্যিস, আটাত্তর নম্বর অ্যাপিসোর্ডে ম্যাকবেথকে আসলে কাঁদতে হয়নি; অভিনয় করতে হয়েছিলো।
-
ক্যাপাচিনো
আড্ডায় এলেন এমন একটা খটমট পোস্ট নিয়ে যে আমাদের তো গেলুম গেলুম অবস্থা। :cd
-
শনিবারের কফি
এ বেলা তো লজ্জায় ফেলে দিলেন। সহজিয়া কড়চা তো আমাদের প্রলিতারিয়েতদের চৌকাঠে আসে না; ওটা না কি ওই স্লিপিঙ বাথের জগতে থাকে…
-
ক্যাফে লাতে
কিছুদিন আগে থেকেই আমি অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলাম। তাই আপনার লেখাইগুলিই বেশি মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু বিশ্বাস করুন মশাই, আপনার লেখাগুলি আমাদের ফাজিল আড্ডার মধ্যে কিরকম যেন সাহিত্যসভা মার্কা আলোচনা। ব্লগের নিয়মকানুন গুলি পড়েই সদস্য হয়েছেন নিশ্চয়। তাও যে কেন সিরিয়াস হয়ে আছেন, ঠিক বুঝছি না।
যাইহোক, প্রলেতারিয়েত ই হোন বা বুর্জোয়া – এই আল প্যাচিনো- রবার্ট ফ্রস্ট- চারশো বছরের বুড়ো থেকে শুরু করে সহজিয়া কড়চা আর স্লিপিং বাথ- সব যদি একটু পথচলতি ভাষায় বুঝিয়ে দেন তো ভাল হয়। আড্ডায় এসে এত মাথা খাটানো পোষায় না মশাই !! :cystg
-
-
-
চাফি
আশারাম বাপুর খবরটি আশা করি আজকাল অনেকেই রাখছেন – যিনি যৌন নিগ্রহের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। আমার কপালে হাত উঠল তাঁর পক্ষের উকিল কি বলছেন তাই শুনে। তিনি আবার যে সে উকিল নন – দেশের অন্যতম বিখ্যাত ব্যারিস্টার পদবাচ্য রাম জেঠমালানি। তিনি বললেন – এ তো ঐ মেয়েটির দোষ যার জন্য সে পুরুষদের দিকে এগিয়ে যায়। অসাধারন – এই না হলে শিক্ষিত মানুষ। আমার বাড়িতেই তিন চার জন ঐ পেশার মানুষ রয়েছেন। তাই বলে মক্কেলের জন্য এতটা মিথ্যে কথা।
-
চাফি
আমেরিকা প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মিস আমেরিকাকে উগ্রপন্থী খেতাব দিল। নজরে পড়ল বলে খবরটা এখানে তুলে দিচ্ছি।
-
Smritilekha Chakraborty
বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ থাকতেই পারে; তবে নীনা যে সুন্দরী-শ্রেষ্ঠা’র শিরোপা জিতলেন, সে কেবল দেশটি’র নাম আমেরিকা বলেই। ভারতবর্ষে কালো মেয়ে-কে সুন্দরী ভাবা তো দূর অস্ত, ‘বিয়ের যুগ্যি’ বলে ভাবতেই বিস্তর বেগ পেতে হয়!
-
ক্যাপাচিনো
কথাটা খুব একটা ভুল বলেন নি :sorry
-
-
-
ক্যাপাচিনো
ভাগ মিলখা ভাগ
অবশেষে দেখলাম সিনেমাটি। কিছু কিছু অংশ দীর্ঘায়ত না হলে এক কথায় বলে দেওয়া যেত দুর্দান্ত। একটা গান দিয়ে লেখা শুরু করছি।
অবশ্যই আপনারা জানেন এবং নতুন করে বলার নেই যে মিলখা সিং-এর আত্মজীবনীর ওপর তৈরি হয়েছে এই সিনেমাটি। যেটা বলার আছে তা হল অভিনেতা হিসেবে ফারহান আখতার অনবদ্য – অদম্য লড়াই, মানসিক টানাপোড়েন আর নিজেকে বারবার ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলার চ্যালঞ্জ প্রমান করতে তিনি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন বললে কম বলা হয় – অনেকটা রেস ট্র্যাকের শেষে ক্লান্ত অবসন্ন মিলখার মতই। অন্যান্য ভূমিকায় মিলখার দিদি (দিভ্যা দত্তা), ট্রেনার (প্রকাশ রাজ) এবং কোচকে (ওনার নামটা জানা নেই) – দারুন লাগে। ঘটনার প্রায় সবটুকুই ছোট ছোট ফ্ল্যাশব্যাকে। দেশভাগের তিক্ত স্মৃতি ও রিফিউজি ক্যাম্প, মিলিটারি ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকে খেলোয়াড় মিলখার উত্থান আর সবশেষে ট্রেনিং-এর পর্বগুলি অসাধারন। পরিচালক হিসেবে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরাকে শুধু ‘রং দে বসন্তি’ নয়, এই সিনেমার জন্যও মনে রাখা উচিত। ভাবতে ভালো লাগে যে চেন্নাই এক্সপ্রেসের পাশাপাশি এই ধরনের সিনেমাও এখন হচ্ছে।
-
এসপ্রেসো
:hn দেখবো দেখবো করেও দেখা হয়নি, এবার ভাবছি দেখেই ফেলবো।
-
শনিবারের কফি
রঙ দে বাসন্তী সেইরাম লেগেছিলো, এইটা দেখতে হবে…
-
ক্যাপাচিনো 1:56 pm on October 4, 2013 Permalink |
:dp