পড়ছে পড়ছে পড়ছে টাকা
নে রে লুটে নেরে
লুটেরা যত বাড়ছে দলে
পকেট ফুলে ফেঁপে
গেল গেল গেল বলে
কাঁদিস নাক আজ
চুরিবিদ্যা বড়বিদ্যা
দেখালে মহারাজ
সূত্র : ভারতীয় টাকার মূল্য আজকের তারিখে ন্যূনতম।
পড়ছে পড়ছে পড়ছে টাকা
নে রে লুটে নেরে
লুটেরা যত বাড়ছে দলে
পকেট ফুলে ফেঁপে
গেল গেল গেল বলে
কাঁদিস নাক আজ
চুরিবিদ্যা বড়বিদ্যা
দেখালে মহারাজ
সূত্র : ভারতীয় টাকার মূল্য আজকের তারিখে ন্যূনতম।
চতুর্দিকে শুধু খারাপ খবর আর খারাপ খবর । আর কিছু নেই…
নাহ একেবারেই নেই।
:sorry
যা বলেছ। একটা ভাল খবর নেই।
উত্তরভারত ধুয়ে যাচ্ছে প্রবল বর্ষণে। মারা গেছেন প্রায় সত্তরের উপরে। হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া। এই কঠিন সময়ে ওদের লড়াই কত অসহায় ভাবতে খুব খারাপ লাগছে। উত্তরাখন্ডে অনেক তীর্থযাত্রীও মহা সমস্যায় পড়েছেন। আশা করি এই দুর্যোগের এই কালো মেঘ যেন কেটে যায়।
আশা করি…
মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। অবস্থা আশঙ্কজনক।
সেই যে পাঁচতারা হোটেলের গল্প বললাম, যেখানে গত সপ্তাহে গেছিলাম, সেখানে আবার অনুষ্ঠানের শেষে লাঞ্চের ব্যবস্থা ছিল। পাঁচতারা লাঞ্চ, বুঝতেই পারছ, এলাহি কারবার। তবে এর মধ্যে একটা ছোট্ট টুইস্ট ছিল। একে তো বাঙালি আজকাল ব্যুফেতে অভ্যস্ত হচ্ছে অনেক কষ্ট করে, তার ওপরে খাওয়াদাওয়ার মেনু মানেই তো বিভিন্ন কুইজিনের এক খিচুড়ি – খানিক পাস্তা স্যালাড, বেবি নানের সাথে ভেজিটেবিল জালফ্রেজি, তারপরেই একটা না চিনা-না বাঙালি ফ্রাইড রাইস, তার সাথে মাটন কষা, মাঝখানে ফিশ অমৃতসরি অথবা ফিশ পাতুরি, এবং শেষে অবধারিত ভাবে স্ট্রবেরি-ভ্যানিলা টু-ইন-ওয়ান আইসক্রিম। যাইহোক, এখানে টুইস্ট যেটা ছিল, সেটা হল আদ্যোপান্ত এক বাঙালি মেনু, যদিও, কেন জানিনা পাস্তাটাকেও এক ঝলক দেখেছিলাম মনে হল।
যাইহোক, আসল যে কথা।লোকজন প্রথমে একটু লজ্জা লজ্জা করছিল- কে আগে খাবে, আমি আগে না আপনি আগে গোছের, তারপরেই দেখলাম একদিকে হঠাত করে লম্বা লাইন পড়ে গেল। ব্যাপারটা অত্যন্ত হাস্যকর লাগে আমার, কিন্তু কিছু করার নেই। আমিও লজ্জার মাথা খেয়ে লাইনে দাঁড়ালাম না যদিও, কিন্তু বড় হলের অন্যদিকে দেখতে গেলাম কি অবস্থা, তা সেদিকে দেখলাম লাইন পড়েনি তখনো। বাঙালি নিয়ম মেনে সামনেই যে লাইন পেয়েছে তাতে দাঁড়িয়ে গেছে। তা এক খানা প্লেট নিয়ে, নিজের পছন্দমত টুকটাক খাওয়া তুলে নিলাম আপাত ফাঁকা ব্যুফে লাইন থেকে। এইখানে একটা কথা না বললেই নয়, আমি ব্যুফে খাওয়ার বিরোধী নই, কিন্তু আমার মনে হয় ব্যুফে খেলে পুরোটাই চামচে খাও, আর খাওয়ার মেনুও সেইরকম হওয়া উচিত যা চামচ দিয়ে খাওয়া যায়। আমাদের দিশি ব্যুফেতে, এই খানিক চামচ দিয়ে, খানিক হাত দিয়ে জগাখিচুড়ি খাওয়াটা একেবারেই এক গোলমেলে ব্যাপার। যদি কচুরি বা লুচি খেতেই হয়, তাহলে বাকি খাওয়াটাও চামচ বিহীন হাত দিয়েই খাও। কিন্তু ওই নিয়ম কানুন মেনে চলার চক্করে, পেটুক বাঙালি আগে হাত দিয়ে লুচি ছোলার ডাল খায়, তারপরে চামচ দিয়ে ফ্রাইড রাইস আর ফিশ ফ্রাই খেয়ে শেষে মাটনকে বাগে আনতে আবার দশ আঙুলের শরণাপন্ন হয়। তাই আমি আজকাল অনেক ভেবে নেমন্তন্ন বাড়িতে গিয়ে শুধুমাত্র সেইসবই খাই, যা চামচ দিয়ে খেয়ে ফেলা যায়।
তা প্লেটে খাবার দাবার নিয়ে দেখলাম যে ব্যাপারগুলো সবই নিরামিষ। আমার তো নিরামিষ খেতে ভালই লাগে। কিন্তু লাঞ্চের আয়োজনে আমিষ নেই, তা কি করে হয়? এদিকে বেশ কয়েকজনের পাতে ফিশ ফ্রাই দেখতে পাচ্ছি, মাং দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু সেগুলি আছে কোথায় তা দেখতে পাচ্ছি না ! লম্বা টেবিলের মাঝামাঝি খানিক ভিড়, সেটা কাটিয়ে ওপাশে গিয়ে দেখলাম, সেখানেও সেই নিরামিষ মেনুর পুণরাবৃত্তি। এবং তখন, হঠাত করেই বুঝতে পারলাম, ওই যে মাঝখানে মৌচাকের চারপাশে মৌমাছির মত এক গাদা লোক ভীড় করে আছে, ওখানেই আছে সেই মহার্ঘ্য আমিষ। মানে দুই দিক থেকে নিরামিষ নিয়ে এসে এসে, আমিষের সামনে এসে একেবারে মহাসঙ্গম হচ্ছে। তাই ঠেলেঠুলে সেখানে গিয়ে দেখলাম, তিনটি পাত্র, তার মধ্যে দুটি ফাঁকা, এবং একটিতে খানিক চিকেন বা মাটন দেখা যাচ্ছে। ভাবছি ব্যাপারটা কি, তখনি, একটি তরুণ শিক্ষানবীশ কর্মচারি এসে এক পাত্রে ফিশ ফ্রাই, আর অন্য পাত্রে চিংড়ির মালাইকারি ঢেলে দিয়ে গেল !
অমনি টেবিলের এইপাশে এক ভদ্র-এবং-আপার-নিঃশব্দ যুদ্ধ শুরু হল, সবার প্লেট ‘আল্লা ম্যাঘ দে, পানি দে’ স্টাইলে এগিয়ে গেল সামনের ওয়েট স্টাফ এর দিকে। সে বেচারা তো পাতে পাতে অমৃত দান করতে করতে হিমশিম খাচ্ছে। আমার পাতেও পড়ল গোটা দুয়েক ফিশ ফ্রাই এবং গোটা তিনেক চিংড়ি। চিংড়িগুলির ব্যাপক সাইজ! পুরো গলদা, তার ওপরে আবার মাথা-ল্যাজা বাদ দেওয়া। অর্থাৎ পুরোটাই সোজা পেটে যাবে। ভাবলাম আরেকটু যদি পাই। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বুঝতে পারলাম, সেটা অসম্ভব! কারণ, আমার পাশে যে ভদ্রলোক প্লেট বাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, তিনি ঠিক করে নিয়েছেন – বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী!! তিনি কিছুতেই চিংড়ি মাছের সামনে থেকে সরবেন না। তিনি ্নিজের বাঁপাশের কোন এক বন্ধুকে যাও বা হাত বাড়াতে দিচ্ছেন, ডান পাশে দাঁড়ানো আমাকে কিছুতেই আর সুযোগ দেবেন না। বুঝতে পেরে, আর কথা না বাড়িয়ে , পেছনের ভয়ানক ভীড়ের মধ্যে দিয়ে, সার্কাসের কসরত করতে করতে ( কসরত, কারণ, আমার প্লেট যেন কারোর গায়ে না লাগে, আর অন্য কারোর প্লেট যেন আমার গায়ে না লাগে) বেরিয়ে এসে, এক কোণে দাঁড়িয়ে চুপচাপ খাওয়া শেষ করলাম। তারপরে ভাবলাম, আমি কি আরেকবার যাব চিংড়ি আনতে? চিংড়ি আমার খুব প্রিয় খাবার। কিন্তু সেইদিকে তাকিয়ে দেখলাম – সেই-ই-ই ভদ্রলোক, তখনো সেইখানে দাঁড়িয়ে আছেন, এবং বাকি জায়গাটা জুড়ে ব্যাপক ঠেলাঠেলি হচ্ছে।
আর মায়া বাড়ালাম না। ডেসার্ট টেবিলে গিয়ে, তিন-চার রকমের মিষ্টি চেখে দেখে, খাওয়া সাং করলাম।
বোঝা গেল। বাঙালির হ্যাংলামো এরকম বুফে তে আমিও অনেক দেখেছি। আসলে বুফে ব্যাপারটা এরকম যে এটা সকলের জন্য না। আমি অনেক সময় দেখি যে লোকজন কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়েই খেতে থাকেন, যাতে ফুরিয়ে গেলেই আবার পাত ভরে নেওয়া যায়। তোমার অভিজ্ঞতাও তার ব্যতিক্রম নয় দেখলাম।
পাত পেড়ে বসে বাঙ্গালী ভোজ ব্যাপারটা বোধ হয় খুব শীঘ্রই উঠে যাবে। ভেতো বুড়ো বাঙ্গালী কলকাতার আবাসনে এসে তথাকথিত ”কম্যুনিটি হলে” নিমন্ত্রণ কয়েকটাই গ্রহণ করলাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই প্রথম লাইনটা লিখলাম। ক্যাফে লাতের মত আমারও একই অভিজ্ঞতা।
কি আর করা! চিঠি লেখা লেখি কবেই উঠে গেছে, টেলিগ্রামটাও গেল। পাত পেড়ে ভোজ যে যাবে , এতে আশ্চর্য্য কি!
পাত পেড়ে বসে খাওয়ার চেয়ে দাঁড়িয়ে খাওয়া কিন্তু অনেক সুবিধের, অবশ্য খাবার দাবার বুঝে। তাই না?
যদি হাতে খেতে না হয় তবে।
অবশ্য কিছু কিছু সুবিধা যে আছে সেটা অস্বীকার করি কি করে ? এ সম্পর্কে পোষ্ট করার ইচ্ছে আছে।
আমি তো ব্যুফে-তে গেলে আগে দেশী-বিদেশী অচেনা আইটেম-গুলোই চেখে দেখি। আরে, চাউমিন-চিলি চিকেন তো রোজই খাই। পাচ তারায় ঢুকলে চাখতে হবে নব্য নব্য চোষ্য-চর্ব্য!
বারে বারে আসে ফিরে আরেকটি সোমবার
ছুটির আমেজ ভুলে হই ফের জেরবার
কাজের পাহাড় জমে
অবসাদে তাল কাটে :cd
নিস্তার নেই তবু সপ্তাহে একবার –
:ngacir2
(লিমেরিক হয়েছে?)
এইবারে হয়েছে :2thumbup
যাক এদ্দিন চেষ্টা করার পর এইবার হল। তা একটা যখন হল তখন আরও লিখতে হবে।
এই খবরটা সবাইকে না দিয়ে পারছি না। গুগল নতুন প্রজেক্ট কাঁধে নিয়েছে – তা হল বেলুনের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা – তাও সারা পৃথিবী জুড়ে। বিশ্বাস হচ্ছে না? সৌরশক্তিতে পরিচালিত প্রকান্ড কিছু বেলুন উড়িয়ে দেওয়া হবে আকাশে – তারা ভাসবে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে অর্থাৎ বিমান চলাচলে দ্বিগুন উচ্চতায়। সেখান থেকে অ্যান্টেনার মাধ্যমে তারা ছড়িয়ে দিতে থাকবে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস। এইসব বেলুন কিন্তু কোন এক জায়গায় থেমে থাকবে না – বরং ভেসে বেড়াবে আকাশে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। আর এটা শুধু পরিকল্পনা নয় – এই নিয়ে গোটা পঞ্চাশেক লোকের টিম ত্রিশটি বেলুন নিয়ে নেমে পড়েছে রিসার্চ করতে – নিউজিল্যান্ডে।
দেখা যাক এই ভিডিওটি কি বলছে।
মনে মনে ভাবছি ভালোই হয় হলে। বেকার বিএসএনএল কে বিল দিচ্ছি,আর এদিকে ইন্টারনেটের অবস্থা তো গরুর গাড়ির অধম। প্রায়ই চলে না। তা গুগল নিজের সার্চ ইঞ্জিন প্রমোট করার জন্য ইন্টারনেট বিলি করুক বা অন্য কোন বানিজ্যিক উদ্দেশ্যেই করুক না কেন, আমার তো ভালোই হয়।
রিসার্চের ফলাফল কবে জানা যাবে ? জানতে পারলে জানিও। যেটায় আছি, সেটাতে বিরক্তির একশেষ।
আমার ভয় এটাই যে গুগলের সাম্প্রতিক অন্যান্য প্রজেক্ট গুলোর মত এটা না আবার মুখ থুবড়ে পড়ে।
হ্যাঁ, এই খবরটা আমিও দেখলাম সকালে। বেশ ভাল ব্যাপার। আমি তো এই মূহুর্তে পরীক্ষামূলকভাবে কেব্ল্ ইন্টারনেট ব্যবহার করছি। এখন স্পিডের এতই প্রয়োজন , যে এই শম্বুক গতি আর পোষায় না।
আরে দাঁড়াও, সব এখনও বিশ বাঁও জলে। কাজে কলমে হতে এখনও সময় লাগবে।
হ্যাঁ, ব্রেকিং নিউজ সিনড্রোম —- এইটা হল আজকের দিনের এক মারাত্মক অসুখ। আর এই অসুখ দেখা যাচ্ছে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের মধ্যে। ভয়ানক ভাবে। এর একটা প্রকোপ দেখার সুযোগ হয়েছিল গত সপ্তাহে।
গত শনিবার শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে যেতে হয়েছিল। কাজের সূত্রে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করতেই হত। সেই অনুষ্ঠানে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এসেছিলেন। বিরাট বড় সুসজ্জিত হলের এক দিনে জনা পঞ্চাশেক সাংবাদিক , ক্যামেরাম্যান,ফটোগ্রাফার দাঁড়িয়ে। প্রথম দিকে মোটামুটি চুপচাপ ছিল সব। তারপরে অনুষ্টান শুরু হল। প্রথমেই মন্ত্রীমশাইকে সংবর্ধনা দেওয়া হল। কিন্তু — উপহার দেওয়া হয়েছে কি হয়নি, সাংবাদিকেরা রীতিমরত হাঁক ডাক শুরু করে দিল- এদিকে এদিকে দেখুন স্যার, ম্যাডাম এদিকে, …ইত্যাদি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতি, পুলিশ আধিকারিক, রাজনৈতিক নেতা, অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিরা। তাঁদের সবাইকে মোটামুটি নস্যাৎ করে দেখা গেল সাংবাদিকেরাই আসলে সর্বেসর্বা। গোটা পঞ্চাশেক ক্যামেরার ঝলকানিতে মাথা খারাপ অবস্থা। তারপরে অনুষ্ঠান চলাকালীন একটা বইয়ের উদবোধন হল। সেখানে ছোট ছোট মেয়েরা অতিথিদের বই এনে দিচ্ছিল । তাতে তাদের এক রাউন্ড ধমক দেওয়া হল- সামনে থেকে সরে যাও! – তাতে বেচারাদের পুরো ভ্যাবাচ্যাকা অবস্থা। তারপরে মন্ত্রীমশাই বক্তৃতা দিলেন। তখন সাংবাদিকেরা সবাই আবার জায়গা ছেড়ে সাম্নের দিকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করল ধাক্কা ধাক্কি করে। তারপরে তারা একে অপরকে ডেকে ধমকাধমকি শুরু করল- অ্যাই অমুক, সরে যা, – আরে তমুক, আর কত ছবি তুলবি। বাকি হলের সমস্ত দর্শক সভ্য ভব্য হয়ে বসে আছেন, কিন্তু এদের ছবি নেওয়া আর শেষ হয়না। ভাবখানা এমন, যেন একটা খবরের কাগজের পুরোটা এই সমস্ত ছবি দিয়ে ভরিয়ে ফেলবে। হল সুদ্ধ লোক চূড়ান্ত বিরক্ত।
যেটা মজার, বা হয়ত বিরক্তিকর, পরের দিন বেশিরভাগ খবরের কাগজে যত খবর বেরিয়েছে, তার মধ্যে আসল অনুষ্ঠানের খবর খুব কম, অথবা নেই বললেই চলে। সব জায়গাতেই খবরের মূল বিষয় হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজেদের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে কি বলেছেন, অথবা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কি বলছেন। সত্যি, এরাই জানে কি করে ‘নিউজ’ ব্রেক অথবা মেক করতে হয় !!
:hn জয় বাবাঃ সাঘাতিক (সাংবাদিক)
হা হা, ভালো বলেছো।
আমি তো মাঝে মধ্যে ফটো তুলতে এদিক ওদিক যাই, তখন কোন অনুষ্ঠান চললে ব্যপারটা বুঝতে পারি। যেরকম স্টেটসম্যান কার র্যালিতে গিয়ে ফটোগ্রাফাররা কিভাবে এক একটি গাড়িকে ঘিরে ধরেছিল, কিভাবে ভিন্টেজ গাড়ির চালকে আসনে বসে থাকা এক মহিলাকে পোজ দিতে বাধ্য করছিল – সেই দৃশ্যটা মনে পড়ে গেল। কুমোরটুলিতেও একই অবস্থা হয়। আসলে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফাররা তো আর বিষয়টাকে ভালোবেসে করে না – যারা ভালোবাসে, তারা প্রফেশনালি করে না – এই হচ্ছে বিড়ম্বনা।
অনেকদিন থেকেই এই ধরনের কথা শুনে আসছি। এইডস এর রুগিরা নাকি চায় যেনতেন প্রকারে তাদের অসুখ চারদিকে ছড়িয়ে দিতে। ভারতের অনেক উন্নত শহরেই দেখা গেছে যে সিনেমা হলে এইডস রোগাক্রান্ত মানুষ নাকি নিজের রক্ত সিরিঞ্জে মাখিয়ে রেখে আসতেন সিটের মধ্যে বিঁধিয়ে। আপনি বসতে ফিয়ে একটা ছোট্ট খোঁচা অনুভব করলেন – ব্যস। এইচ আই ভি চলে এল আপনার রক্তে। অবশ্য এই ব্যাপারটা যে শুধু সিনেমাহলে তা নয় – ভিড় রাস্তায়ও হয়েছে। এইমাত্র একটি খবর পড়লাম যে আসামে এইরকম একজন এইডস রোগক্রান্ত ব্যক্তি নাকি রক্তদান করেছেন এবং সেই রক্তের জেরে সাতজন এইডস এর কবলে পড়েছেন আরও সাতজন।
পড়ে প্রথমেই মনে এল যে কথাটা – যে এ কি অসহায়তা না মনোবিকার না কি নিছক প্রতিশোধ। তারপরেই মনে হল, এই গোটা ব্যাপারটার মধ্যে কতটা তির্যক বিদ্রুপ লুকিয়ে আছে – এমন এক ব্যধি, যাকে কেবল বশ মানানো যায় তাকে ছড়িয়ে পড়তে না দিয়ে, সেখানে সব জানা সত্তেও মানুষ নিজেই সেই রোগ ছড়াচ্ছে, জেনে, বুঝে, পরিকল্পনা করে। কেন? কার দায়িত্তজ্ঞানহীনতায় হাসপাতাল থেকে রোগটা ছড়িয়ে পড়ল তা জানি না, বা সেই দিকে ইঙ্গিত করতে চাইছি না, আমার ধারনা ছিল কারও রক্ত নেওয়ার আগে যথারীতি পরীক্ষা করেই নেয় ব্লাডব্যাঙ্ক। সেক্ষেত্রে বড় রকমের গাফিলতি হয়েছে – যা এক্ষেত্রে প্রায় অমার্জনীয়। তবু সে প্রসঙ্গে এই মুহুর্তে যাচ্ছি না।
অনেক প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘুরে বেড়ায়। যদি আমি জানতে পারি পৃথিবী থেকে আমার চলে যাওয়া প্রায় নির্ধারিত, তাহলে জীবনের বাকি দিনগুলো কি দুনিয়াটাকে আরও সুন্দর করে তুলতে চাইব না? জানি না এই কথাটা বলা যতটা সহজ, কাজে কর্মে করে দেখানো বোধহয় ততটা নয়।
ঘটনাটা সত্যি? তাহলে বলতে হবে রক্ত সংরহকারী সংস্থা চূড়ান্ত ভাবে গাফিলতি করেছে।
আমার চলে যাওয়া নিশ্চিত জেনেও দুনিয়াটাকে সুন্দর রেখে যেতে চাই – এইটা প্রথম ভাবনা হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু দেখতে হবে, সেই মানুষটা কি দুনিয়ার কাছ থেকে স্বাভাবিক ব্যবহার পেয়ে এসেছে? খুব সম্ভবতঃ নয়। একঘরে হয়ে, লোকের দূরছাই সহ্য করে নিশ্চয় বেঁচে থাকতে হয় তাকে।হয়ত বাড়ির লোক, ভালবাসার মানুষেরা সবাই পরিত্যাগ করেছে তাকে। হয়ত চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছে। সামাজিকভাবে ব্রাত্য হয়েছে। আর এই সমস্ত কিছুই তাকে জীবনের প্রতি বিমুখ করে তুলেছে। প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তুলেছে। সে ভেবেছে, আমাকে যেরকম কষ্ট দিলে, তোমরাও এইবার সেইরকম কষ্ট ভোগ কর…
আমিও একমত ক্যাফে লাতে ।
হুম, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে ব্লাড ব্যাঙ্কের পদ্ধতিতে এত বড় রকমের ফাঁক ফোকর থেকে গেল কি করে?
আমার তো মনে হয় এগুলি সব গুজব।
এইমাত্র একটা মজার খবর পড়লাম – গুগল নিউজের পাতায় ওপরের দিকেই ছিল বলেই বোধহয় নজরে পড়ে গেল। আর খবরটাও নজিরবিহীন। প্রিন্স উইলিয়াম – যিনি কিনা ব্রিটিশ সিংহাসনের দাবীদার, তাঁর জন্মসূত্রে নাকি ভারতীয় পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। ব্যাপারটা কিরকম? না একধরনের মাইটোকন্ড্রিয়াল জিন আছে যা নাকি মায়ের কাছ থেকে সন্তানের মধ্যে চলে আসে। সেই সূত্র ধরে খুঁজতে খুঁজতেই এই আবিষ্কার – কারন এমন একটি জেনেটিক কোড আছে যা নাকি ভারতীয় হতে বাধ্য।
এখন এই জেনেটিক আবিষ্কারের সূত্র ঘাঁটতে গিয়ে দেখা গেছে – উইলিয়ামের মা ডায়নায় উর্ধতন পঞ্চম পুরুষ থিওডর ফোর্বস (1788-1820) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে ভারতে আসেন এবং সুরাটে থাকাকালীন এক ভারতীয় মহিলাকে পরিচারিকা নিযুক্ত করেন, যার নাম এলিজা কেওয়ার্ক। তাঁরা কখনও বিয়ে করেননি, কিন্তু তাঁদের প্রথম কন্যা ক্যাথরিনের বংশধর হলেন এক কালের হাইনেস, প্রিন্সেস ডায়না। এই রিসার্চ করেছেন এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিহাস ও বিজ্ঞান – দুই দিক থেকেই এই আবিষ্কার চাঞ্চল্যকর বটে।
মজার কথা হচ্ছে এই যে ব্রিটিশ জাত আমাদের উপমহাদেশ দাপিয়ে মাড়িয়ে শোষন করে গেছে দুই শতাব্দী, সেই জাতের রাজপরিবারের সাথে সম্পর্ক বেরিয়ে পড়ায় আমাদের কি ভারতীয় হিসেবে খুব একটা গর্ব হওয়া উচিত? জানি না। আমার যুক্তরাজ্য (ইউনাইডেট কিংডম – অর্থাৎ ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং নর্দার্ণ আয়ারল্যান্ড) ভ্রমণ ও সেখানে বেশ কিছু সময় থাকার অভিজ্ঞতা কিন্তু উলটো কথা বলে। সেখানে আইরিশ, স্কটিশ ও ওয়েলসরা কিন্তু একেবারেই ব্রিটিশদের ভালো চোখে দেখে না। ব্রিটিশ জাত যে শুধু ভারতীয় উপমহাদেশ বা অন্যান্য উপনিবেশে ছড়ি ঘুরিয়েছে তা নয় – নিজের প্রতিবেশীদেরও এক কালে কম জ্বালায় নি। তবে কিনা আমরা তো শেষমেষ ভারতীয়, কাজেই এই ঘটনা হ্যাংলাপনা করে মুখ দিয়ে লাল ঝরিয়ে, গাল ভরিয়ে অনেক কথা হয়তো পত্র পত্রিকায় দেখা যাবে – কারন ইতিমধ্যেই গুজরাটে নাকি খোঁজ শুরু হয়ে গিয়েছে রাজকুমারের পিসতুতো / মামাতো / কাকাতো ভাইয়ের খোঁজ। সত্য সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ।
তথ্যসূত্র:
১) ইকোনমিক টাইমস
২) ইন্ডিপেন্ডেন্ট
হা হা হা, তাও ভালো উনি কলকাতায় ছিলেন না। আজকাল তো কলকাতায় ঐতিহাসিকের অভাব নেই, কোথা থেকে কি বেরিয়ে পড়ত কে জানে।
আচ্ছা চাফি, কলকাতায় কবিদের অভাব নেই বলে জানতাম, ঐতিহাসিকদেরও অভাব নেই? কি কান্ড!
হয়ে গেল !! এবার ন-মো বাবুকে প্রধাণ মন্ত্রী হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। এমনিতেই তো আমাদের সাদা চামড়া দেখেলেই চোখ চকচক, জিভ সকসক করে। দেখ গে যাও, এবার খোঁজ শুরু হবে ন-মো ভাই ডায়নার কিরকমের তুতো দাদা হন!
যাচ্চলে উনি তো হিন্দু!!! :mewek এরকম দূর সম্পর্কের ভাই বেরোলে রাজনৈতিক ভবিষ্যতের দফারফা হয়ে যাবে না? কি যে বলো!
এই মূহুর্তে উনি হিন্দু পরে, আগে গ্লোবালাইজ্ড্ নেতা। তো ওনার একটা গ্লোবালাইজড্ বোন বা বোনপো থাকতে পারে না? :shakehand2
তবে এর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ খবর যেটা, সেটা হল যে গত শনিবার রাতে খবরে দেখলাম এক হিন্দি সংবাদ চ্যানেল হই হই-রই-রই করে বলছে, ডায়নার বড় ছেলে রাজা হওয়া মানে হল এক ভারতীয় রাজকুমারের বৃটিশ সিংহাসনে বসা। বুড়ি রানীমার এতসব এই বয়সে সহ্য হলে হয় 🙂 সিল্কের হ্যাট ঠিক করতে করতে মনে মনে নির্ঘাত ভাবছেন – বড় ছেলের প্রথম বৌটা হাড় বজ্জাত। মরার আগে কেচ্ছা-কেলেঙ্কারি করে গেল, এখন বেটি মরেও সগ্গ থেকে ব্যাম্বু দিচ্ছে। 😀 পুরো ‘রসময়ীর রসিকতা’ -আ লা বাকিংহ্যাম স্টাইল !!
তবে বৈজ্ঞানিক দিক থেকে ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং এই কারণে যে যে জিনটার কথা বলা হচ্ছে, সেটা নাকি একমাত্র মায়ের শরীর দিয়েই পরের প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ডায়নার কোন মেয়ে নেই, তাই এই ‘নেটিব রক্ত’-এর বাকিংহ্যামে ঢোকার এই শুরু এবং শেষ। রানীমা এক কাজ করতে পারেন, নীল রক্তের সম্মান বাঁচাতে চার্লসের দুই ছেলেকেই ত্যাজ্য নাতি করতে পারেন 😀 আর অন্য কাউকে মুকুট দিয়ে যেতে পারেন।
আরেকটা দিক নিয়ে এখনো সেরকম কোন আলোচনা হয়েছে কিনা জানিনা। ডায়নার সেই ২০০ বছর আগের পূর্বসূরী নাকি আদতে আর্মেনিয় মহিলা ছিলেন। তাহলে কি আর্মেনিয়ানরাও দাবি করবে , যে উইলিয়াম তাদেরও রাজপুত্তুর? শেষ মেশ লড়াই না লেগে যায়, কাদের অধিকার বেশি …তাহলে পুরো হাওড়া পুলিশ -কলকাতা পুলিশ কেস হয়ে যাবে! :thumbup
তা বটে, পলিটিকাল মাইলেজ নেওয়ার জন্য লোকে ঠিক কোন পর্যায়ে যেতে পারে আমার কোন ধারনা নেই। তার ওপর শুনেছি ওনার পাবলিসিটি নাকি কোন বিলিতি কোম্পানি করে। আজকাল বিজেপি তে যা খেও খেওয়ি চলে তাতে এরকম একটা কিছু দরকার হয়ে উঠতে পারে বৈকি। কে জানে পুরোটাই সাজান ঘটনা কিনা।
আবার এও ভাব পাঁচ পুরুষ আগে কি হয়েছে, তাই নিয়ে এত হুজুগ কিসের কে জানে?
এটা আজকের গুগল ডুডল!! বলা ভাল গুগল ইন্ডিয়ার ডুডল। আজকে নাকি ফার্স্ট ডে অফ সামার!! কোথায় রে? ফার্স্ট ডে অফ মনসুন লিখতে চায়নি তো? ১৪ই জুন কোন হিসাবে ভারতের গ্রীষ্মের প্রথম দিন হয়, এটা গুগলের কাছ থেকে জানা খুব দরকার …ভূগোলের পড়া তো সব গুলিয়ে দেবে রে।
ওহ না, না, এইমাত্র বুঝতে পারলাম এটা অন্য কোন একটা সার্চ ইঞ্জিনের হোম পেজ। ব্যাটা আমাকে ধোঁকা দিয়েছে। যাইহোক, তাও আমার জানার ইচ্ছা রইল, এখন কোন দেশের গ্রীষ্মের প্রথম দিন
হায় রে গুগল – গরম তো প্রায় শেষ হতে চলল। ১৪ই জুন তো বৃহত্তম দিনও নয়। তাহলে এরকম হল কেন?
ক্যাফে লাতে 6:23 pm on June 20, 2013 Permalink |
বলতে বাধ্য হচ্ছি, অত্যন্ত জঘন্য ছড়া 🙂
খবরটা পদ্যে না বলার চেষ্টা করে, গদ্যে বললেই তো পারতে!!
ক্যাপাচিনো 7:52 pm on June 20, 2013 Permalink |
বাহ, দেশের নেতারা পয়সাকড়ি ঝেড়ে তহফিল ফাঁক করে দিলে বুঝি খুব ভালো আর আমি ছড়া কাটলেই যত দোষ? জান কি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সিকিউরিটি বন্ড বেচে দিচ্ছে গেরোয় পড়ে?
চা পাতা 5:02 am on June 24, 2013 Permalink |
হেঃ হেঃ হেঃ হেঃ!