৪ ঠা জুলাই
“সবাইকে ৪ঠা জুলাইয়ের শুভেচ্ছা। সেই ৪ঠা জুলাই যা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং অভিনবত্ত অর্জনকারী দেশের জন্মদিন। প্রতিটি সংবিধানে সাধারনতঃ সাম্য, মর্যাদা এবং সকলের সমান সুবিধার মত গুরুত্তপূর্ণ বিষয়গুলি কেবল নিয়মের বেড়াজালেই আটকে থাকে – আমেরিকা এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে সংবিধান অনুসরণ করতে বাধ্য করা হয় এবং কেবলমাত্র নিয়মাবলী হিসেবে ফেলে রাখা হয় না। তাই এই দিনে আমাদের রাষ্ট্রপিতাদের – জন অ্যাডামস, বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন, আলেক্সাণ্ডার হ্যামিলটন, জন জে, থমাস জেফারসন, জেমস ম্যাডিসন এবং জর্জ ওয়াশিংটন – সম্মান জানান একান্ত জরুরি।”
ভাববেন না এগুলো আমার কথা – আমি তো কেবল অনুবাদ করেছি মাত্র। আদপে লিখেছেন একজন মার্কিন ভদ্রলোক, ৪ঠা জুলাইয়ের আবেগে ভেসে গিয়ে। তবে কিনা শুনেছি কয়েক বছর আগে তিনি বাঙালি ছিলেন। আমার সাথে বাংলায় কথাও বলেছেন। এখন মনে হয় ভুলে গেছেন। আমেরিকার নাগরিকত্ত নেওয়ার সময় অনেক কিছু ভুলতে হয় মনে হয়। যে দেশ এঁকে শিখিয়ে পড়িয়ে এই পর্যায়ে নিয়ে গেল (নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন এবং তারপর খড়গপুর), যে উনি সাহেবি সুরে ইংরেজি বলতে শুরু করলেন, সেই কৃতজ্ঞতার কথা মনে করে একটুও গলা ভিজল না? গায়ের রং কি ঠান্ডার দেশে থেকে একটু বেশি ফরসা হয়ে গেল? নাগরিকত্তের শপথ গ্রহনের পরেই কি ৪ঠা জুলাইয়ের সকালটা অন্যরকম হল? কে জানে। জয় আমেরিকা। আমরা তোমাকে সিনেমার পর্দায় ভালোবাসি, তোমার পরিষ্কার ছবির মত রাস্তাঘাট ভালোবাসি, ভালোবাসি ডলারের ভার। শালা একটা নোংরা, পচা, দুনম্বরি (সরি, তিন-নম্বরি) দেশে জন্ম হয়েছিল বলে লজ্জা হয়। আমি এখন এক অন্য পৃথিবীতে থাকি।
ভাঁড়ের চা 3:12 pm on July 8, 2013 Permalink |
আজকেই ভাবছিলাম বাঙ্গালীদের ইংরেজী প্রীতি নিয়ে একটা পোষ্ট দেব! আগেই এসে গেল। তাহলেও দেব। ক’দিন পর। সত্যজিৎ রায়ের একটা লেখা মনে পড়ছে,তবে হুবহু বলতে পারছি না, দেখে বলব। লেখাটা এরকম– ভুলতে চাইলে বাংলা তিন মাসেই ভোলা যায় ইত্যাদি। এমন সময়ে খড়্গপুর, নরেন্দ্রপুরের কথা মনে পড়ে নাকি !
চাফি 10:20 am on July 9, 2013 Permalink |
আপনি কি সোনার কেল্লার কথা বলছেন? আমার তো কামু মুখার্জির সেই ডায়লগ মনে পড়ে গেল।
ভাঁড়ের চা 3:22 pm on July 9, 2013 Permalink |
বোধ হয় সেটাই। তাহলেও একবার নিশ্চিত হতে চাই। রসদ মজুদই আছে। তাহলেও একটু দেরী হবে, পড়তে হবে।
ক্যাফে লাতে 7:40 am on July 11, 2013 Permalink |
হেহেহেহে…আমার ভাই একবার বলেছিল, ওদের এক বন্ধুর কথা। সেই বন্ধুটি জনৈক সহপাঠীর সপর্কে বলেছিল –
পতা হ্যায় ইসকা লাইফ কা এইম ক্যা হ্যায়?
—-ম্যায় বড়া হোকে ফরেনার বননা চাহতা হুঁ !!!! :ngakak
চাফি 8:36 am on July 11, 2013 Permalink |
বাহ – এই তো চাই। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেশ। ডলার। তারপর আর কি সে দেশের মাঠি কামড়ে পড়ে থাকা। এই ভিসা নিয়ে পাবলিক যে কত রকমের দুনম্বরি করে যে ভাবলেও মাথা হেঁট হয়ে যায়।
ক্যাফে লাতে 7:44 am on July 11, 2013 Permalink |
এই বিষয়ে আমার এক আত্মীয়ার কথাও মনে পড়ে গেল। তিনি যেকোন জিনিষের বিষয়ে আলোচনা করতে গেলেই বলেন- ‘আমেরিকাতে এটা এইরকম পাওয়া যায়, ওটা বেশি ভাল, সেটা বেশি সুন্দর। তাঁর আমেরিকা প্রীতির জন্য আরেক আত্মীয় তাঁর সম্পর্কে বলেছেন- ওর দেহটা ভারতে, মনটা আমেরিকায়। 🙂
তা কিছুদিন আগে, কিছু রান্না বান্না নিয়ে আলোচনার সময়ে এক রান্নার বিশেষ এর উপাদানের কথা শুনে তিনি আমাকে বললেন- কোথা থেকে পেলি? এটা তো আমেরিকা ছাড়া পাওয়া যায় না। আমি বললাম, কে বলেছেন যায়না? আমি নিউ মার্কেট থেকে কিনেছি। কোন বিদেশী ব্র্যান্ড ও নয়। লোকাল প্রোডাক্ট। তাতে তিনি যারপরনাই অবাক হয়েছেন
চাফি 8:37 am on July 11, 2013 Permalink |
সেটা আসলে কি প্রোডাক্ট ছিল?
ক্যাফে লাতে 6:42 pm on July 11, 2013 Permalink |
রসুনের গুঁড়ো 🙂